Tue. Sep 10th, 2024

যশোরে বৈধ অস্ত্র জমা দেয়ার হিড়িক

ঘোষিত সময়ের শেষ দিনে যশোরে বৈধ অস্ত্র জমা দিচ্ছেন লাইসেন্সধারীরা। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে কেউ নিয়ে এসেছেন বন্দুক, শটগান, কেউবা পিস্তল নিয়ে। কেউ কেউ রিভলভার নিয়ে আসেন থানায়। তবে কি পরিমাণ অস্ত্র জমা পড়েছে তা নিশ্চিত করতে পারেনি জেলা প্রশাসন। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) শুরু হচ্ছে যৌথ অভিযান।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত বেসামরিক নাগরিকদের দেয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ওই নির্দেশনায় মঙ্গলবার রাত ১২টার মধ্যে ওইসব অস্ত্র জমা দিতে বলা হয়। এর মধ্যে জমা না দিলে ওইসব অস্ত্রও অবৈধ হয়ে যাবে। তবে এর আগে দেয়া অস্ত্রের লাইসেন্স বহাল আছে। তাদের আগ্নেয়াস্ত্র জমা দিতে হবে না।

এজন্য শেষ দিন মঙ্গলবার সকাল থেকে দিনভর যশোর কোতোয়ালি মডেল থানাতে যার যার অস্ত্র নিয়ে আসেন লাইসেন্সধারী অস্ত্র ব্যবহারকারীরা। আর যারা সশরীরে আসতে পারেনি তার প্রতিনিধি মারফতে দিয়েছেন অস্ত্র জমা। শুধু কোতোয়ালি মডেল থানাতে নয়; জেলার আট থানায়ই দিনভর ছিল অস্ত্র জমা দেয়ার হিড়িক।

যশোর জেলা প্রশাসকের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাখার তথ্যমতে, যশোরে এক হাজার ১৩৮ লাইসেন্সধারী অস্ত্র ব্যবহারকারী রয়েছে। বেশিরভাগ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধি। এছাড়া বিএনপির নেতাকর্মী ও বিভিন্ন ব্যবসায়ীরাও রয়েছে।

অস্ত্র জমা দেয়া কয়েকজন জানান, নিজেদের নিরাপত্তার জন্য বৈধভাবেই অস্ত্র ক্রয় করে লাইসেন্সে গ্রহণ করেছেন তারা। এখন দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অস্ত্র জমা দিতে এসেছেন। পরবর্তীতে আবার অস্ত্র লাইসেন্সে গ্রহণ করবেন।

অস্ত্র জমা দিতে আসা একজন বলেন, ‘আমরা এক বড়ভাইয়ের অস্ত্র জমা দিতে এসেছি। তিনি একটি রাজনীতির দলের অনুসারী ও জনপ্রতিনিধি ছিলেন। এখন তিনি দেশের বাইরে। সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে অস্ত্র জমা দিতে এসেছি।’

যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘কোতোয়ালি থানাতে ১৩৫টি লাইসেন্সধারী রয়েছে। এর মধ্যে কিছু সামরিক ব্যক্তিদের। আর বেশি রাজনীতিক ও ব্যবসায়ীদের। এরইমধ্যে ৯৪টি জমা দিয়েছে বিভিন্ন ব্যক্তি ও তাদের প্রতিনিধিরা।’

এদিকে যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কমলেশ মজুমদার বলেন, ‘অস্ত্র জমা হয়েছে থানায়। আর যারা অথোরাইজড ডিলারের কাছে আগেই আগ্নেয়াস্ত্র জমা রেখেছেন তারা থানায় শুধু জমার কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। কিন্তু মঙ্গলবার জেলায় মোট কত অস্ত্র জমা দেয়া হয়েছে, সেটার তালিকা করা হয়নি।’

আরও দেখুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *