শেখ হাসিনার সরকারের সময়ের প্রতিটি গুমের ঘটনার তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটা কমিশন গঠন করবে। সরকারের পক্ষ থেকে শিগগিরই এ বিষয়ে ঘোষণা দেওয়া হবে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ কনভেনশনে সই করবে বাংলাদেশ।
বুধবার ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি গুমের ঘটনার তদন্ত নিশ্চিত করা হবে। এ জন্য সরকার একটা কমিশন গঠনের চিন্তা-ভাবনা করছে। শিগগিরই এ বিষয়ে ঘোষণা দেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘কমিশন গঠনের বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কেবিনেটে আলোচনা হয়েছে।
শ্রীলঙ্কায় একটা কমিশন আছে। সেটি বিবেচনায় নিয়ে ওই আদলে কমিশন গঠনের বিষয়টি কেবিনেট চিন্তা-ভাবনা করছে।’
ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ৮ আগস্ট শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ নেয়। গত সরকারের সময়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর দ্বারা গুম হওয়ার বিষয়টি দেশ ও দেশের বাইরে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।
নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর গতকাল এ বিষয়ে তদন্ত ও বিচারের ঘোষণা দেওয়া হলো।
আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ কনভেনশনে সই করার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, ‘গুমের বিষয়ে ইন্টারন্যাশনাল যে কনভেনশন আছে, সেটাতে আগের সরকার সই করেনি। আমরা এটাতে সই করব। হয়তো ৩০ আগস্ট আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবসের আগেই সই করা হবে।’
তিনি জানান, শেখ হাসিনার সরকারের সময় অনেক মানুষ গুম হয়েছে।
মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের হিসাব মতে, সাত শর বেশি মানুষ গুম হয়েছে। এর মধ্যে ১৫০ জনের বেশির এখনো কোনো হিসাব নেই।
সরকার শিগগিরই একজন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা নিয়োগ দেবে বলে জানান শফিকুল আলম।