আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে নেওয়া ঋণের প্যাকেজটি বাড়িয়ে ৭ বিলিয়ন ডলার করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, ‘যেহেতু বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের অর্থের চাহিদা রয়েছে, তাই আমরা আইএমএফ, এডিবি এবং বিশ্ব ব্যাংকের কাছে বিদ্যমান ঋণ কর্মসূচিগুলোর আওতা বাড়ানোর আবেদন করব। আমরা আইএমএফের কাছে বলব, পাকিস্তানকে ৭ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের প্যাকেজটিও যেন ৭ বিলিয়ন করা হয়।’
গতকাল বৃহস্পতিবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ তথ্য জানান গভর্নর।
পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার চেষ্টা করা হবে জানিয়ে আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘ব্যাংক থেকে প্রচুর অর্থ বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। যারা পাচার করেছে, তাদের কিছু সম্পদ দেশে আছে। দেশ ও বিদেশ দুই চ্যানেলে যেভাবেই হোক সম্পদগুলো পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করা হবে। ইতিমধ্যেই সম্পদ রিকভারি ইনস্টিটিউশন গঠনের চেষ্টা করছি। সেখান থেকে যে টাকাটা আসবে, সেটা দিয়ে আমরা ঘাটতি মেটানোর চেষ্টা করব। হয়তো সব টাকা ফেরত পাব না। ১০০ টাকার মধ্যে ৫০ টাকা পাব।’
সরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) অবরুদ্ধ করে দাবি আদায়ের যে হিড়িক পড়েছে, তা নিয়ে গভর্নর বলেন, আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফেরানো দায়িত্ব সরকার ও নাগরিক উভয়েরই। কাউকে ব্ল্যাকমেল করে দাবি আদায় করাটা ঠিক না। তবে যাঁদের যৌক্তিক দাবি আছে, তাঁদের বিষয় বিবেচনা করা যেতে পারে। তবে ব্যাংকের দুর্বৃত্তায়ন বন্ধে যাচাই-বাছাই করে তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গভর্নর বলেন, ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদের ডিজিটাল ব্যাংকিং লাইসেন্স আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। তাদের ডিজিটাল ব্যাংকিং লাইসেন্স প্রক্রিয়া পুনরায় রিভিউ (পর্যালোচনা) করা হবে। রিভিউ অনুযায়ী যদি তারা যোগ্য হয়, তাহলে পুনরায় তারা লাইসেন্স পাবে। নগদের মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস)-এর পরিষেবা ধ্বংস করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এটাকে আরও শক্তিশালী করা হবে।