ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, বেইজিং বাংলাদেশের দুর্যোগ-ত্রাণ ও পুনর্গঠন প্রচেষ্টায় সহায়তার জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী সহায়তা অব্যাহত রাখতে ইচ্ছুক। তিনি বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণ শিগগির দুর্যোগ কাটিয়ে উঠবে এবং তাদের ঘরবাড়ি পুনর্নির্মাণ করবে।’ রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সদর দফতরে সংস্থার চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কবির চৌধুরীর সাথে সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন। রাষ্ট্রদূত রেডক্রস সোসাইটি অব চায়নার পক্ষ থেকে বাংলাদেশে বন্যার্তদের সহায়তার জন্য এক লাখ মার্কিন ডলার অনুদান দেয়। এ সময় রাষ্ট্রদূত ইয়াও জানান, বাংলাদেশ ভয়াবহ বন্যাকবলিত হয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। যার ফলে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তিনি বলেন, চীন সরকার ও জনগণ এতে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এবং বাংলাদেশের জনগণের প্রতি সহানুভূতিশীল। রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, বাংলাদেশ এমন একটি দেশ, যেটি প্রায়ই প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয়। আর তাই চীন অন্তর্বর্তী সরকার ও বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আন্তরিক সহানুভূতি প্রকাশ করছে। দুর্যোগ নির্মম হলেও (এ দেশের) মানুষ মমতাময় উল্লেখ করে ওয়েন বলেন, ‘এ বন্যায় চীনের রেডক্রস সোসাইটি অবিলম্বে বাংলাদেশকে মানবিকসহায়তা প্রদান করেছে। চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে সামগ্রিক কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরো সুসংহত ও গভীর করতে আগ্রহী। রাষ্ট্রদূত ওয়েন গত রোববার প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সাথে বৈঠক করে বাংলাদেশের বন্যা ত্রাণ প্রচেষ্টার সহায়তায় ‘প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে’ ২০ হাজার মার্কিন ডলার অনুদান দেন। এখানে চীনা দূতাবাসের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই কঠিন সময়ে স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করার জন্য বাংলাদেশে চীনা দূতাবাস মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ফেনী শহরে ৬০ লাখ টাকার খাদ্য, খাবার পানি ও অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী প্রদান করেছে। বাংলাদেশে চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সামাজিক দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে সক্রিয়ভাবে অর্থ ও সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে। ২৫ আগস্ট র্পযন্ত বাংলাদেশে চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্যাকবলতি এলাকায় নগদ ৪১.৩ লক্ষাধিক টাকা এবং প্রায় ৬১.৯ লাখ টাকার ত্রাণসহ মোট প্রায় এক কোটি তিন লাখ ২০ হাজার। চীনা দূতাবাস জানায়, অনুদান ও সহায়তা অব্যাহত রয়েছে।